আসালামু আলাইকুম,
সবাই কেমন আছেন আশাকরি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন।আমাদের মধ্যে অনেক মানুষ ভেবে থাকেন যে
"কুকুরে যদি কোন স্ত্রী বা পুরুষকে কামড় দিলে তার পেতে কুকুরের বাচ্চা হয়" যা কে আরাক ভাষাই র‍্যাবিস বলে  আপনাদের ধারণাটা যে ভুল আজ আমি আপনাদের সামনে সেটাই প্রমান করব।
 র‌্যাবিস ভাইরাস কুকুর, শিয়াল অনেক ক্ষেত্রে বানরের লালা এবং সেই সূত্রে কামড়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে থাকে। র‌্যাবিস (জলাতঙ্ক) আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে স্নায়ুদুর্বলতাজনিত অস্বাভাবিক শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়। এ জন্য পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে অথবা দেখামাত্র রোগীর ভেতর একধরনের ভীতির সঞ্চার হয়ে থাকে। র‌্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত কুকুর কামড়ানোর ছয় থেকে সাত বছর পরও রোগটি সুপ্ত থাকার পর দেখা দিতে পারে। শুধু পানিভীতি নয়, আক্রান্ত রোগীর মধ্যে অস্বাভাবিক অস্থিরতা, প্যারালাইসিস, অচেতনতা বোধ প্রভৃতি অনুসর্গও দেখা যায়।
র‌্যাবিস নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক ধরনের কুসংস্কার রয়েছে। এ জন্য আক্রান্ত রোগী অপচিকিৎসা এবং অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসাহীনতার শিকার হয়ে থাকেন।
র‌্যাবিস সম্পর্কে যা জানা জরুরি
ষ অনেকের ধারণা, পুরুষ বা স্ত্রীলোক যাকেই কুকুর বা অন্যান্য প্রাণী কামড় দেয় তার পেটে ওই জন্তুর বাচ্চা হয়। ধারণাটি আদৌ ঠিক নয়। কারণ এসব প্রাণীর লালা বা দাঁতের সাথে প্রজননক্রিয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। কুকুর বা অন্যান্য প্রাণীর কামড়ের সাথে সাথে ক্ষতস্থান প্রচুর সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে যাতে জলতাঙ্ক রোগের জীবাণু উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়। সাবান না থাকলে পরিষ্কার পানি দিয়ে বারবার ধুয়ে ফেলতে হবে। সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পর ক্ষতস্থানে স্পিরিট/ডেটল/স্যাভলন/টিংচার আয়োডিন প্রয়োগ করলে ভালো হয়। তবে ক্ষতস্থানটি এসিড বা আগুন দিয়ে পোড়ানো কখনোই উচিত নয়।
ষ থালাপড়া, পানিপড়া, ঝাড়ফুঁক, গাছগাছড়া, কলাপড়া, গুড়পড়া ইত্যাদি এ রোগ প্রতিরোধে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখে না। এগুলো শুধুই কুসংস্কার। কুকুর বা অন্য কোনো প্রাণীর কামড়ের সাথে সাথেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর আপনাকে অবশ্যই নিকটস্থ রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মনে রাখবেন, অযথা কালক্ষেপণে আপনার জীবন হয়ে উঠতে পারে ঝুঁকিপূর্ণ। ক্ষতস্থান সেলাই না করাই উত্তম। যদি সেলাই পরিহার করা সম্ভব না হয় তবে ক্ষতস্থানে র‌্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন (জওএ) বা অ্যান্টি র‌্যাবিস সিরাম (অজঝ) ক্ষতস্থানে প্রয়োগ করে যতটা সম্ভব কম সেলাই দিতে হবে।
যেসব রোগীর ক্ষত অত্যন্ত মারাত্মক অর্থাৎ বন্যপ্রাণীর কামড় হাতে, ঘাড়ে, মুখে, মাথায় ও শরীরের অন্যান্য অংশে চার-পাঁচটির বেশি ক্ষত, সেসব ক্ষেত্রে শুধু ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয় না। এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই অ্যান্টি র‌্যাবিস সিরাম (অজঝ) বা র‌্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন যুগপৎ ব্যবহার করতে হয়।
অ্যান্টি র‌্যাবিস সিরাম প্রয়োগকৃত ব্যক্তি বা মারাত্মক কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ভ্যাকসিনের বুস্টার মাত্রা প্রয়োগ করতে হবে।
আমাদের দেশে দুই ধরনের ভ্যাকসিন পাওয়া যায় : ঢাকার মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট প্রস্তুতকৃত নার্ভ টিস্যু ভ্যাকসিন যা ক্ষত ও প্রাণীর আচরণভেদে ১৪ থেকে ১৭টি ইনজেকশন পেটের সম্মুখভাগে চামড়ার নিচে দিতে হয়। তবে সবচেয়ে ভালো টিস্যু কালচার ভ্যাকসিন, যা নির্দিষ্ট বিরতিতে চার থেকে ছয়টি ইনজেকশন বাহুর মাংসপেশিতে দিতে হয়, যা রাবিপুর নামে পাওয়া যায়।
অনেকের ধারণা, জলাতঙ্কের ভ্যাকসিনগুলো খালি পেটে নাভির চার পাশে দিতে হয়। আসলে এটি ঠিক নয়। পেটের সম্মুখভাগের যেকোনো অংশে চামড়ার নিচে দিলেই চলে। এতে রোগীর কষ্ট কম হয়।
প্রতিটি ইনজেকশন প্রয়োগের জন্য ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করা উচিত। নার্ভ টিস্যু ভ্যাকসিন প্রয়োগের সময় কিছু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেকোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। স্নায়ুবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ বন্ধ রেখে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আমাদের দেশে ৯৫% জলাতঙ্ক রোগ হয় কুকুরের কামড়ে। তাই এ মারণব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা একান্ত প্রয়োজন।
আপনার পোষা কুকুর ও বিড়ালকে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক দিন। এতে আপনার পোষ্য প্রাণী ও আপনি উভয়ই নিরাপদ থাকবেন। এ ব্যাপারে আপনি আপনার নিকটস্থ পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিতে পারেন। 
"এই লেখা টি নয়াদিগন্ত থেকে সংগ্রহ করা আপনাদের জানার উদ্দেশে"
র‌্যাবিস ভাইরাস কুকুর, শিয়াল অনেক ক্ষেত্রে বানরের লালা এবং সেই সূত্রে কামড়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে থাকে। র‌্যাবিস (জলাতঙ্ক) আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে স্নায়ুদুর্বলতাজনিত অস্বাভাবিক শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়। এ জন্য পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে অথবা দেখামাত্র রোগীর ভেতর একধরনের ভীতির সঞ্চার হয়ে থাকে। র‌্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত কুকুর কামড়ানোর ছয় থেকে সাত বছর পরও রোগটি সুপ্ত থাকার পর দেখা দিতে পারে। শুধু পানিভীতি নয়, আক্রান্ত রোগীর মধ্যে অস্বাভাবিক অস্থিরতা, প্যারালাইসিস, অচেতনতা বোধ প্রভৃতি অনুসর্গও দেখা যায়।
র‌্যাবিস নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক ধরনের কুসংস্কার রয়েছে। এ জন্য আক্রান্ত রোগী অপচিকিৎসা এবং অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসাহীনতার শিকার হয়ে থাকেন।
র‌্যাবিস সম্পর্কে যা জানা জরুরি
ষ অনেকের ধারণা, পুরুষ বা স্ত্রীলোক যাকেই কুকুর বা অন্যান্য প্রাণী কামড় দেয় তার পেটে ওই জন্তুর বাচ্চা হয়। ধারণাটি আদৌ ঠিক নয়। কারণ এসব প্রাণীর লালা বা দাঁতের সাথে প্রজননক্রিয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। কুকুর বা অন্যান্য প্রাণীর কামড়ের সাথে সাথে ক্ষতস্থান প্রচুর সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে যাতে জলতাঙ্ক রোগের জীবাণু উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়। সাবান না থাকলে পরিষ্কার পানি দিয়ে বারবার ধুয়ে ফেলতে হবে। সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পর ক্ষতস্থানে স্পিরিট/ডেটল/স্যাভলন/টিংচার আয়োডিন প্রয়োগ করলে ভালো হয়। তবে ক্ষতস্থানটি এসিড বা আগুন দিয়ে পোড়ানো কখনোই উচিত নয়।
ষ থালাপড়া, পানিপড়া, ঝাড়ফুঁক, গাছগাছড়া, কলাপড়া, গুড়পড়া ইত্যাদি এ রোগ প্রতিরোধে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখে না। এগুলো শুধুই কুসংস্কার। কুকুর বা অন্য কোনো প্রাণীর কামড়ের সাথে সাথেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর আপনাকে অবশ্যই নিকটস্থ রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মনে রাখবেন, অযথা কালক্ষেপণে আপনার জীবন হয়ে উঠতে পারে ঝুঁকিপূর্ণ। ক্ষতস্থান সেলাই না করাই উত্তম। যদি সেলাই পরিহার করা সম্ভব না হয় তবে ক্ষতস্থানে র‌্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন (জওএ) বা অ্যান্টি র‌্যাবিস সিরাম (অজঝ) ক্ষতস্থানে প্রয়োগ করে যতটা সম্ভব কম সেলাই দিতে হবে।
যেসব রোগীর ক্ষত অত্যন্ত মারাত্মক অর্থাৎ বন্যপ্রাণীর কামড় হাতে, ঘাড়ে, মুখে, মাথায় ও শরীরের অন্যান্য অংশে চার-পাঁচটির বেশি ক্ষত, সেসব ক্ষেত্রে শুধু ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয় না। এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই অ্যান্টি র‌্যাবিস সিরাম (অজঝ) বা র‌্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন যুগপৎ ব্যবহার করতে হয়।
অ্যান্টি র‌্যাবিস সিরাম প্রয়োগকৃত ব্যক্তি বা মারাত্মক কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ভ্যাকসিনের বুস্টার মাত্রা প্রয়োগ করতে হবে।
আমাদের দেশে দুই ধরনের ভ্যাকসিন পাওয়া যায় : ঢাকার মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট প্রস্তুতকৃত নার্ভ টিস্যু ভ্যাকসিন যা ক্ষত ও প্রাণীর আচরণভেদে ১৪ থেকে ১৭টি ইনজেকশন পেটের সম্মুখভাগে চামড়ার নিচে দিতে হয়। তবে সবচেয়ে ভালো টিস্যু কালচার ভ্যাকসিন, যা নির্দিষ্ট বিরতিতে চার থেকে ছয়টি ইনজেকশন বাহুর মাংসপেশিতে দিতে হয়, যা রাবিপুর নামে পাওয়া যায়।
অনেকের ধারণা, জলাতঙ্কের ভ্যাকসিনগুলো খালি পেটে নাভির চার পাশে দিতে হয়। আসলে এটি ঠিক নয়। পেটের সম্মুখভাগের যেকোনো অংশে চামড়ার নিচে দিলেই চলে। এতে রোগীর কষ্ট কম হয়।
প্রতিটি ইনজেকশন প্রয়োগের জন্য ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করা উচিত। নার্ভ টিস্যু ভ্যাকসিন প্রয়োগের সময় কিছু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেকোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। স্নায়ুবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ বন্ধ রেখে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আমাদের দেশে ৯৫% জলাতঙ্ক রোগ হয় কুকুরের কামড়ে। তাই এ মারণব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা একান্ত প্রয়োজন।
আপনার পোষা কুকুর ও বিড়ালকে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক দিন। এতে আপনার পোষ্য প্রাণী ও আপনি উভয়ই নিরাপদ থাকবেন। এ ব্যাপারে আপনি আপনার নিকটস্থ পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিতে পারেন। - See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/66673#sthash.224jOkqG.dpuf
র‌্যাবিস ভাইরাস কুকুর, শিয়াল অনেক ক্ষেত্রে বানরের লালা এবং সেই সূত্রে কামড়ের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়ে থাকে। র‌্যাবিস (জলাতঙ্ক) আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে স্নায়ুদুর্বলতাজনিত অস্বাভাবিক শ্বাসকষ্ট অনুভূত হয়। এ জন্য পানি খাওয়ার ক্ষেত্রে অথবা দেখামাত্র রোগীর ভেতর একধরনের ভীতির সঞ্চার হয়ে থাকে। র‌্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত কুকুর কামড়ানোর ছয় থেকে সাত বছর পরও রোগটি সুপ্ত থাকার পর দেখা দিতে পারে। শুধু পানিভীতি নয়, আক্রান্ত রোগীর মধ্যে অস্বাভাবিক অস্থিরতা, প্যারালাইসিস, অচেতনতা বোধ প্রভৃতি অনুসর্গও দেখা যায়।
র‌্যাবিস নিয়ে আমাদের সমাজে অনেক ধরনের কুসংস্কার রয়েছে। এ জন্য আক্রান্ত রোগী অপচিকিৎসা এবং অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসাহীনতার শিকার হয়ে থাকেন।
র‌্যাবিস সম্পর্কে যা জানা জরুরি
ষ অনেকের ধারণা, পুরুষ বা স্ত্রীলোক যাকেই কুকুর বা অন্যান্য প্রাণী কামড় দেয় তার পেটে ওই জন্তুর বাচ্চা হয়। ধারণাটি আদৌ ঠিক নয়। কারণ এসব প্রাণীর লালা বা দাঁতের সাথে প্রজননক্রিয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। কুকুর বা অন্যান্য প্রাণীর কামড়ের সাথে সাথে ক্ষতস্থান প্রচুর সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে যাতে জলতাঙ্ক রোগের জীবাণু উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়। সাবান না থাকলে পরিষ্কার পানি দিয়ে বারবার ধুয়ে ফেলতে হবে। সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার পর ক্ষতস্থানে স্পিরিট/ডেটল/স্যাভলন/টিংচার আয়োডিন প্রয়োগ করলে ভালো হয়। তবে ক্ষতস্থানটি এসিড বা আগুন দিয়ে পোড়ানো কখনোই উচিত নয়।
ষ থালাপড়া, পানিপড়া, ঝাড়ফুঁক, গাছগাছড়া, কলাপড়া, গুড়পড়া ইত্যাদি এ রোগ প্রতিরোধে কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখে না। এগুলো শুধুই কুসংস্কার। কুকুর বা অন্য কোনো প্রাণীর কামড়ের সাথে সাথেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর আপনাকে অবশ্যই নিকটস্থ রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মনে রাখবেন, অযথা কালক্ষেপণে আপনার জীবন হয়ে উঠতে পারে ঝুঁকিপূর্ণ। ক্ষতস্থান সেলাই না করাই উত্তম। যদি সেলাই পরিহার করা সম্ভব না হয় তবে ক্ষতস্থানে র‌্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন (জওএ) বা অ্যান্টি র‌্যাবিস সিরাম (অজঝ) ক্ষতস্থানে প্রয়োগ করে যতটা সম্ভব কম সেলাই দিতে হবে।
যেসব রোগীর ক্ষত অত্যন্ত মারাত্মক অর্থাৎ বন্যপ্রাণীর কামড় হাতে, ঘাড়ে, মুখে, মাথায় ও শরীরের অন্যান্য অংশে চার-পাঁচটির বেশি ক্ষত, সেসব ক্ষেত্রে শুধু ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয় না। এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই অ্যান্টি র‌্যাবিস সিরাম (অজঝ) বা র‌্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন যুগপৎ ব্যবহার করতে হয়।
অ্যান্টি র‌্যাবিস সিরাম প্রয়োগকৃত ব্যক্তি বা মারাত্মক কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ভ্যাকসিনের বুস্টার মাত্রা প্রয়োগ করতে হবে।
আমাদের দেশে দুই ধরনের ভ্যাকসিন পাওয়া যায় : ঢাকার মহাখালীর জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট প্রস্তুতকৃত নার্ভ টিস্যু ভ্যাকসিন যা ক্ষত ও প্রাণীর আচরণভেদে ১৪ থেকে ১৭টি ইনজেকশন পেটের সম্মুখভাগে চামড়ার নিচে দিতে হয়। তবে সবচেয়ে ভালো টিস্যু কালচার ভ্যাকসিন, যা নির্দিষ্ট বিরতিতে চার থেকে ছয়টি ইনজেকশন বাহুর মাংসপেশিতে দিতে হয়, যা রাবিপুর নামে পাওয়া যায়।
অনেকের ধারণা, জলাতঙ্কের ভ্যাকসিনগুলো খালি পেটে নাভির চার পাশে দিতে হয়। আসলে এটি ঠিক নয়। পেটের সম্মুখভাগের যেকোনো অংশে চামড়ার নিচে দিলেই চলে। এতে রোগীর কষ্ট কম হয়।
প্রতিটি ইনজেকশন প্রয়োগের জন্য ডিসপোজেবল সিরিঞ্জ ব্যবহার করা উচিত। নার্ভ টিস্যু ভ্যাকসিন প্রয়োগের সময় কিছু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেকোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। স্নায়ুবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভ্যাকসিন প্রয়োগ বন্ধ রেখে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আমাদের দেশে ৯৫% জলাতঙ্ক রোগ হয় কুকুরের কামড়ে। তাই এ মারণব্যাধি থেকে রক্ষা পেতে বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করা একান্ত প্রয়োজন।
আপনার পোষা কুকুর ও বিড়ালকে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক দিন। এতে আপনার পোষ্য প্রাণী ও আপনি উভয়ই নিরাপদ থাকবেন। এ ব্যাপারে আপনি আপনার নিকটস্থ পশু হাসপাতালে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিতে পারেন। - See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/66673#sthash.224jOkqG.dpuf
 
Top